প্রেমিক অন্যত্র বিয়ে করায় প্রেমিকা শারমিনা আক্তার (২৮) নামে এক গৃহবধূ গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে। তাদের মাঝে পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল বলে জানান এলাকাবাসী। ঘটনাটি ঘটে বুধবার দিবাগত রাতে স্বামীর বাড়িতে। এ ঘটনায় পুলিশ স্বামীর বাড়ি থেকে গৃহবধূর লাশ উদ্ধার করে আজ বৃহস্পতিবার ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন।
নিহত গৃহবধূ পার্শ্ববর্তী পুরান শ্রীবরদী গ্রামের মফিজল হকের মেয়ে। প্রতিবেশী ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, প্রায় ৮ বছর আগে কুড়ি পাড়া গ্রামের মৃত হাফেজ উদ্দিনের ছেলে আকরাম হোসেনের সাথে বিয়ে হয় পার্শ্ববর্তী পুরান শ্রীবরদী গ্রামের মফিজল হকের মেয়ে শারমিন আক্তারের। তাদের দাম্পত্য জীবনে ২ সন্তানের জননী হন শারমিনা। ৫ হতে ৬ মাস আগে তাদের প্রতিবেশী আব্বাস আলীর ছেলে রতন মিয়ার সাথে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন শারমিন। রতন তাকে বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে অন্যত্র নিয়ে যান। সেখানে প্রায় ৩ মাস রেখে ধর্ষণ করেন। একপর্যায়ে তাকে রেখে পালিয়ে যান রতন। এ নিয়ে গ্রাম্য সালিসে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয় তাকে। পরে বিষযটি মেনে নিয়ে আবারও শারমিনাকে ঘরে তোলেন আকরাম। এর তিন মাস না যেতেই রতন তাকে বিয়ের প্রস্তুতি নিতে বলেন। শারমিনা তার কথায় রাজি হয়ে যান এবং হাতে মেহেদী, পরনে গহনা আর নতুন শাড়ি পরে অপেক্ষা করতে থাকেন। এদিকে, গত চারদিন আগে অন্যত্র বিয়ে করেন রতন। এ সংবাদ শুনে শারমিন স্বামীর ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন। পরে বাড়ির লোকজন তাকে ঝুলতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার ময়নাতদন্তের জেলা সদর হাসপাতালে প্রেরণ করে। এদিকে ঘটনার পর থেকে গাঢাকা দিয়েছে রতনসহ তার পরিবারের লোকজন।
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে এসআই রুকন উদ্দিন বলেন, এ ব্যাপারে থানায় একটি ইউডি মামলার প্রক্রিয়া চলছে। তবে ঘটনাটি তদন্তনাধীন।
দৈনিক কলম কথা সংবিধান ও জনমতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তাই ধর্ম ও রাষ্ট্রবিরোধী এবং উষ্কানীমূলক কোনো বক্তব্য না করার জন্য পাঠকদের অনুরোধ করা হলো। কর্তৃপক্ষ যেকোনো ধরণের আপত্তিকর মন্তব্য মডারেশনের ক্ষমতা রাখেন।